রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৫.৫°সে
সর্বশেষ:
শান্তি প্রচেষ্টা ধ্বংসের চেষ্টা করছেন বাইডেনের কর্মকর্তারা জার্মানিতে ‘ক্রিসমাস মার্কেটে’ গাড়ি হামলা, মৃত ৪, আহত ২০০ ট্রাম্প ‘আবর্জনা’ ফেলার বদলে মন্ত্রিসভায় নিচ্ছেন বিল পাস করে অবশেষে ‘শাটডাউন’ এড়াল যুক্তরাষ্ট্র গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াতের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত-১৪ রাখাইনে গুরুত্বপূর্ণ সেনা দপ্তর দখল করলো আরাকান আর্মি আমরা আল্লাহর ওপরে ভরসা করি, হাসিনার ভরসা ভারত: দুলু ১৯ নাবিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ১৯ নাবিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ঢাকায় রাহাত ফতেহ আলী খান, মঞ্চ মাতাবেন রাতে পলাশবাড়ীতে ৫ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধস, নিহত ২

ওয়াগনার প্রধানের বিরুদ্ধে চলছে তদন্ত, ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক :
রাশিয়ার বিরুদ্ধে ওয়াগনারের নাটকীয় বিদ্রোহের অবসান সমাপ্তি হয়েছে সমঝোতার মাধ্যমে। মূলত বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো ভাড়াটে বাহিনীপ্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের সঙ্গে আলোচনার পর রক্তপাত ছাড়াই শেষ হয় বিদ্রোহ।

রুশ সরকার ও ওয়াগনার প্রধানের সঙ্গে এক সমঝোতা হয়। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, রাশিয়া ছেড়ে চলে যাওয়ার বিনিময়ে প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে হওয়া ফৌজদারি মামলা তুলে নেওয়া হবে।

দিমিত্রি পেসকভ আরও বলেন, এছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধে বীরত্ব বিবেচনায় বিদ্রোহে অংশ নেওয়া ওয়াগনার যোদ্ধাদের বিচারের আওতায় আনা হবে না। ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার এই যোদ্ধাদের অবদানকে যথেষ্ট শ্রদ্ধার চোখে দেখে।

চুক্তি মোতাবেক তারা নিজ নিজ ঘাঁটিতে ফিরে যাবে এবং মস্কোমুখী অভিযানে অংশ নেওয়ায় কোনো আইনি পদক্ষেপের মুখোমুখি হবে না।

এই সমঝোতার পর ওয়াগনার মস্কোর দিকে অগ্রসর হওয়া বন্ধ করে এবং এরপর তাদের দখলে আসা রুশ সীমান্ত শহর রোস্তভ-অন-ডন থেকেও তারা নিয়ন্ত্রণ তুলে নেয়।

তবে কথা দিয়ে কথা রাখল না রাশিয়া। বরং ওয়াগানার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রেখেছে রাশিয়া।

বর্তমানে ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিন কোথায় আছেন তা স্পষ্ট নয়। যদিও প্রিগোজিনকে রোস্তভ-অন-ডন ছেড়ে যেতে দেখা গেলেও তার বর্তমান অবস্থান অজানা।

ওয়াগনার বাহিনী ও প্রিগোজিনের ভবিষ্যৎ প্রশ্নে নানা বিশ্লেষণ দিচ্ছে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো। রাশিয়ার বিষয়ে এসব সংবাদমাধ্যমে অতিরঞ্জিত সংবাদ প্রকাশ করার প্রবণতা দেখা যায়। তবু মোটাদাগে বলা যায়, এই বিদ্রোহ ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার ওয়াগনার হয়তো আগের ক্ষিপ্রতা ও স্পৃহা হারাবে। কারণ বাহিনীর বেশিরভাগ ভাড়াটে সেনাই তাদের নেতা প্রিগোজিনের বড় সমর্থক।

এদিকে বিদ্রোহ দমনে রাশিয়ার সেনাদের হামলায় প্রিগোজিনের করুণ পরিণতি না হলেও এখনো তিনি নিরাপদ নন। মস্কোয় সিএনএনের সাবেক ব্যুরোপ্রধান এবং দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ জিল ডগার্টি বলেন, পুতিন বিশ্বাসঘাতকদের কখনো ক্ষমা করেন না। যদিও পুতিন বলেছেন- প্রিগোজিন, আপনি বেলারুশ চলে যান; কিন্তু তিনি এখনো একজন বিশ্বাসঘাতকই রয়ে গেছেন এবং আমার মনে হয়, পুতিন তাকে কখনো ক্ষমা করবেন না।

তাই বেলারুশে প্রিগোজিনকে ‘হত্যা করা হতে পারে’ বলেই মনে করেন জ্যেষ্ঠ এই সাংবাদিক। তিনি এটাও বলেন, ‘মস্কোর জন্য প্রিগোজিন এখন কঠিন এক দ্বন্দ্বে পরিণত হয়েছে। কারণ যত দিন পর্যন্ত প্রিগোজিনের এক ধরনের সমর্থন থাকবে, তিনি মস্কোর জন্য হুমকি হয়েই থাকবেন, তা তিনি যেখানেই অবস্থান করুন না কেন।’

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

শান্তি প্রচেষ্টা ধ্বংসের চেষ্টা করছেন বাইডেনের কর্মকর্তারা
জার্মানিতে ‘ক্রিসমাস মার্কেটে’ গাড়ি হামলা, মৃত ৪, আহত ২০০
ট্রাম্প ‘আবর্জনা’ ফেলার বদলে মন্ত্রিসভায় নিচ্ছেন
বিল পাস করে অবশেষে ‘শাটডাউন’ এড়াল যুক্তরাষ্ট্র
গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াতের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত-১৪
রাখাইনে গুরুত্বপূর্ণ সেনা দপ্তর দখল করলো আরাকান আর্মি

আরও খবর