কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি:নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ তার ভাইদের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জনতা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বসুরহাট পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বড় রাজাপুর ওবায়দুল কাদেরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। সেখানে ওবায়দুল কাদেরের ভাই আবদুল কাদের মির্জা, ফজলুল কাদের মিন্টু ও শাহাদাত হোসেনের বাসভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এ সময় তারা স্লোগান দেন ‘কাউয়া কাদেরের আস্তানা, জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও’, ‘স্বৈরাচারের দোসর ওবায়দুল কাদেরের আস্তানা ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’।
অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের সময় ঘটনাস্থলে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলার আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ফ্যাসিবাদের দোসরদের আস্তানা ভেঙে দিচ্ছে। আমি বর্তমান সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, আপনাদেরকে আমাদের এ ছাত্র জনতাই ক্ষমতার আসনে বসিয়েছে। অতএব ছাত্র সমাজের ইমোশন বুঝতে হবে।’
সরকারের উদ্দেশে আরিফুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ছাত্রজনতা বিগত সময়ে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের নির্যাতন, জুলাই গণহত্যা দেখেছে। এ গণহত্যার বিচার দ্রুত শেষ করতে হবে। আমরা দেখেছি প্রকাশ্যে গুলি করা হয়েছে, পুলিশ গুলি করেছে—এত তথ্যচিত্র থাকার পরও তাদের বিচার করা হচ্ছে না কেন? আপনারা যদি বিচার করতে ব্যর্থ হন, আমরা অপনাদেরও বিরুদ্ধে দাঁড়াব।’
বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা জানান, গত জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর যে হামলা ও নিপিড়ন চলেছিল, তার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন ওবায়দুল কাদের। তার নির্দেশে নিরপরাধ ছাত্রদের হত্যা করা হয়েছে, তার নির্দেশে চলেছিল শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন। আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ অপকর্মের হোতা কাদের। তিনি এখনো পালিয়ে রয়েছেন, পালিয়ে থেকেও তিনি দলের নেতাকর্মীদের উসকিয়ে দিচ্ছে এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে।
ছাত্রজনতা আরও অভিযোগ করেন, গত ৫ আগস্টের পর কাদেরের ভাইয়েরা তাদের পরিবার নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর কে বা কারা ইন্ধন দিয়ে তার ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িটি পুনঃনির্মাণ করছে। তারা এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের দাবি করেছেন।
প্রসঙ্গ, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন ওবায়দুল কাদেরের এ বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এরপর থেকে বাড়িতে কেউ বসবাস করতেন না।