দিনাজপুর প্রতিনিধি :
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দুই দিনে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে রেকর্ড পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। রোববার এবং সোমবার দুই কর্মদিবসে ভারতীয় ১২৪ ট্রাকে তিন হাজার ৭৬১ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। যার ফলে কমতে শুরু করেছে খুচরা বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। মঙ্গলবার সকালে হিলি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়। হিলি বাজারে কাঁচাবাজার করতে আসা আরমান শেখ বলেন, হিলি বাজারে কাঁচামরিচের দাম কমছে না, তবে পেঁয়াজের দাম অনেকটাই কমেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৪ টাকা দরে। ভারত থেকে কাঁচামরিচ আসছে তবুও দাম কমছে না। এ বিষয়ে প্রশাসনকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা দরকার। যদি সব নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ থাকত আমাদের মতো সাধারণ ভোক্তাদের অনেক সুবিধা হতো। হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাহাবুল ইসলাম বলেন, তিন দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কমেছে চার থেকে আট টাকা। বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ প্রকারভেদে ২০ থেকে ২৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানি বৃদ্ধির কারণে কমতে শুরু করেছে দাম। আমদানি অব্যাহত থাকলে দাম বৃদ্ধি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করছি। তবু আগের থেকে ক্রেতা অনেক কম। আগে আট থেকে ১০ বস্তা পেঁয়াজ বিক্রি হলেও বর্তমানে তিন বস্তা পেঁয়াজ বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ হারুন বলেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে বেশি বেশি পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি করেছে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা। যার ফলে প্রতিদিন ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে দেশে। বর্তমানে খুচরা বাজারে অনেকটাই দাম কমেছে। সরকার যদি আমদানি অব্যাহত রাখে তাহলে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।