অনলাইন ডেস্ক:
হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ ছাড়াও আরও ২০ জন সিনিয়র নেতাকে হত্যার দাবি করেছে ইসরাইল। তারা জানায়, শুক্রবার যখন হিজবুল্লাহর সদরদপ্তরে হামলা চালানো হয়, তখন নাসরাল্লাহ ছাড়াও আরও ২০ সিনিয়র নেতা নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার বৈরুতে এক হামলায় হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে। ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্স দাবি করছে, হাসান নাসরাল্লাহকে টার্গেট করে সে হামলা চালানো হয়েছিল। এ হামলায় হাসান নাসরাল্লাহর সঙ্গে হিজবুল্লাহর সাউদার্ন ফ্রন্ট কমান্ডারও নিহত হয়েছে।
আইডিএফ জানায়, তারা নাসরাল্লাহ সিকিউরিটি ইউনিটের প্রধান ইব্রাহিম হুসেইন জাজনি ও তার দীর্ঘদিনের সহযোগী ও পরামর্শক সামির তাওফিক দিবকে হত্যা করেছে।
ইসরাইলের দাবি, হিজবুল্লাহর সদরদপ্তর ছিল বেসামরিক ভবনের নিচে।
গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের চালানো নিপীড়ন ও সামরিক অভিযানে প্রাণ হারিয়েছে ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৯০ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক।
গাজায় ইসরাইলি অভিযান শুরুর পর থেকে একাধিকবার লেবানন সীমান্তে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। দুই দেশই সীমান্ত থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিয়েছে। লেবাননের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ কাছে। তারা বেশ কয়েকবার হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ইসরাইলের সঙ্গে সংঘাতে এখন পর্যন্ত শতাধিক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। তবে এবার সীমান্তবর্তী এলাকা ছাপিয়ে এবার পরস্পরের সীমান্ত থেকে মূল ভূখণ্ডের বেশ ভেতরে হামলা চালানো শুরু করেছে দুই দেশ। এতে করে ক্রমেই বেড়ে চলছে নিহতের সংখ্যা।