অনলাইন ডেস্ক:সাংবাদিকদের নিরাপত্তায় সরকারি আইন অনুযায়ী বিমা সহায়তা করা যায় কি না, এ বিষয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সার্কিট হাউস রোডে অবস্থিত তথ্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসকের আমলে সংবাদমাধ্যমের ওপর যেসব অযাচিত আক্রমণ এসেছে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্য মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনকে ধন্যবাদ জানান কামাল আহমেদ। ভবিষ্যতেও সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের সদস্য দেশগুলোর ঢাকার দূতাবাসগুলোর প্রতিনিধিরা আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে গণমাধ্যম সংস্কারের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে চান। অপতথ্য ও ভুয়া তথ্য প্রচারের ঝুঁকি মোকাবিলায় কমিশনের কোনো ভূমিকা থাকবে কি না, সে সম্পর্কে কমিশনের প্রধানের কাছে জানতে চান তারা।
রাজনৈতিক দলগুলোকে গণমাধ্যম সংস্কারে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে কি না, সে সম্পর্কে জানতে চান মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের প্রতিনিধিরা।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রধান তাদের বলেন, ‘আমাদের মেয়াদ ৯০ দিন। আমরা চেষ্টা করছি আমাদের অংশীজন প্রকাশক, সম্পাদক, সাংবাদিক, বেতার ও টেলিভিশন মালিক এবং সাধারণ জনগণ-দর্শক-শ্রোতা যারা গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট তাদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি নির্ভরযোগ্য সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরা। আমরা সমাজের সব শ্রেণির মানুষের কথা শুনছি এবং তাদের মতামত গ্রহণ করছি এমনকি রাজনৈতিক দলগুলোকেও গণমাধ্যম সম্পর্কিত তাদের পর্যাবেক্ষণ এবং সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি। ’
তিনি বলেন, ‘কমিশন গণমাধ্যমের টেকসই সংস্কারের জন্য কাজ করছে, যা শুধু নির্বাচনকেন্দ্রিক নয় বরং শক্তিশালী গণতান্ত্রিক কাঠামোর অংশ হবে।’
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য শামসুল হক জাহিদ, আখতার হোসেন খান, বেগম কামরুন্নেসা হাসান, ফাহিম আহমেদ, জিমি আমির, মোস্তফা সবুজ, টিটু দত্ত গুপ্ত, আব্দুল্লাহ আল মামুন।