জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
সর্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে পঞ্চম দিনের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। সেই সঙ্গে দাবি আদায়ে অনড় অবস্থানে আছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরও।
রবিবার দুপুর ১২ থেকে ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ও গুচ্ছ ভাস্কর্য চত্বরে আলাদা আলাদা কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গত দু’দিন সপ্তাহিক ছুটি থাকায় আজকের কর্মবিরতিতে শিক্ষকদের উপস্থিতির সংখ্যাও বেশ বেড়েছে।
শিক্ষকদের টানা কর্মবিরতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রমসহ যাবতীয় সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অচল হয়ে পড়েছে ক্যাম্পাস। তবে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও উন্মুক্ত লাইব্রেরি খোলা রয়েছে নিয়মিত পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীদের জন্য।
প্রত্যয় স্কিম বাতিলের বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। জ্ঞান সৃষ্টি এবং বিতরন আমাদের মূল কাজ। ছাত্র-ছাত্রীরা আমাদের প্রান, বই ,খাতা, কলম, গবেষণা নিয়ে থাকতে চাই। শ্রেণীকক্ষ ও গবেষণাগারই আমাদের ঠিকানা। আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ফিরে যেতে চাই। শিক্ষকদের মান-মর্যাদা রক্ষা, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য বৈষম্যমূলক পেনশন প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চাই।’
দাবি মানলেই ক্লাসে ফিরবেন শিক্ষকরা বলেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মমিন উদ্দিন। তিনি বলেন, আমরা শ্রেণিকক্ষে দ্রুতই ফিরতে চাই। আমাদের কাজ আন্দোলন করা নয়। কিন্তু অধিকার আদায়ে টানা আন্দোলনে বাধ্য হচ্ছি। অবিলম্বে প্রত্যয় স্কিম বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন করতে হবে।
এদিকে শিক্ষকদের আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করে টানা কর্মবিরতি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও।
এর আগে, গত ৪ জুলাই সকাল সাড়ে আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের মহাসচিব মো. আব্দুল কাদের।