বিনোদন ডেস্ক:
মারা গেছেন ‘সিনবাদ’ খ্যাত অভিনেতা শাহনেওয়াজ প্রধান। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মুম্বাইয়ে একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান চলাকালীন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
৫৬ বছর বয়সী এই অভিনেতা অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে প্রচণ্ড বুকে ব্যথা হচ্ছে বলার পরই জ্ঞান হারান। এরপর তাকে দ্রুত কোকিলাবেন ধিরুভাই আম্বানি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শত চেষ্টা করেও ডাক্তাররা তাকে বাঁচাতে পারেননি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ‘শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সিন্দাবাদ খ্যাত এই অভিনেতা। মুম্বাইয়ে একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান চলাকালীন তিনি অচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।’
জানা যায়, এদিন অনুষ্ঠান চলাকালীন হঠাৎ বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন শাহনওয়াজ প্রধান। এরপর অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। অভিনেতাকে তড়িঘড়ি কোকিলাবেন ধিরুভাই আম্বানি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
টেলিভিশন জগতে পরিচিত মুখ ছিলেন শাহনওয়াজ প্রধান। মির্জাপুর সিরিজে পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। একাধিক ওয়েব সিরিজ এবং ছবিতে পার্শ্ব চরিত্রে তাকে দেখা গেছে। ফ্যান্টম, রইস, টোটা ওয়েডস ময়না অভিনেতার ক্যারিয়ারের অন্যতম কাজ।
তবে শাহনওয়াজ প্রধান সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পেয়েছিলেন বিটিভিতে বাংলায় ডাবিংকৃত আলিফ লায়লা সিরিজের সিন্দাবাদ চরিত্রে অভিনয় করে। এই অভিনেতার প্রয়াণে শোকে স্তব্ধ সবাই। এরইমধ্যে শোক প্রকাশ করেছেন বলিউড টলিউডের অনেক তারকারা।
মির্জাপুরে শাহনওয়াজের সঙ্গে কাজ করেছেন রাজেশ তাইলাং, সহকর্মীর প্রয়াণে নেটমাধ্যমে একটি আবেগঘন পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘শাহনওয়াজ ভাই শেষ শ্রদ্ধা!!! অসাধারণ মানুষ, অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, দুর্দান্ত অভিনেতা আপনি। মির্জাপুরের সময় খুব সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছি আমরা। বিশ্বাস করতে পারছি না।’
‘লগন’ অভিনেতা যশপাল শর্মা, যিনি একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে লেখেছেন, ‘আজ মুম্বইয়ের এই প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছিলাম। সবকিছুই দারুণ চলছিল। বহু গুণীজন উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু, পুরস্কার গ্রহণের কিছুক্ষণ পরেই আমাদের প্রিয় অভিনেতা আমাদের ছেড়ে চলে যায়।’
আরও লেখেন, ‘এটাই আমাদের জীবনের অপ্রিয় সত্য। একজন মানুষ কীভাবে বাঁচে আর জীবন কী ফিরিয়ে দেয়। অনেক শিল্পী এক জায়গায় জড়ো হল আর একজনের এভাবে জীবন চলে গেল চোখের সামনে। এ দুঃখ সারাজীবন থাকবে।’