অনলাইন ডেস্ক :
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখে তাহলে দেশটির বিরুদ্ধে তিন ধরনের পদক্ষেপ নেবে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি ওয়াশিংটন আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কির সিটি হলে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন ব্লিঙ্কেন। এ সময় কীভাবে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ ‘একটি কৌশলগত ব্যর্থতায়’ পরিণত হয়েছে সে সম্পর্কেও কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ক্রেমলিনের দাবি প্রত্যাখ্যান করে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমরা রাশিয়ান সরকারকে উৎখাত করতে চাই না এবং আমরা কখনই তা করিনি।’
তিনি আরও বলেন, মার্কিন প্রশাসনের অবস্থান বরাবরই স্পষ্ট যে, রাশিয়া যে পথ- অর্থাৎ যুদ্ধ বা কূটনীতি- যাই বেছে নিক না কেন- প্রস্তুত থাকবে ওয়াশিংটন।
‘আর যদি রাশিয়া যুদ্ধ বেছে নেয়, আমরা তিনটি জিনিস করব- ইউক্রেনকে সমর্থন করব, রাশিয়ার উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করব এবং এই লক্ষ্যগুলো অর্জনে আমাদের মিত্র ও অংশীদারদের একত্র করার মাধ্যমে ন্যাটোকে আরও শক্তিশালী করব,’ বলেন ব্লিঙ্কেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ ‘একটি কৌশলগত ব্যর্থতা এবং এর শক্তি ও স্বার্থ ব্যাপকভাবে হ্রাস পাচ্ছে।
ব্লিঙ্কেন বলেন, ইউক্রেনে হামলা শুরুর আগে রাশিয়ার যে অবস্থা ছিল, বর্তমানে দেশটির পরিস্থিতি সামরিক, অর্থনৈতিক এবং ভূ-রাজনৈতিকভাবে ব্যাপক খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে।
তুর্কি সংবাদমাধ্যম ইয়েনি শাফাক জানিয়েছে, বক্তৃতায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোয় মিত্র ও অংশীদারদের প্রশংসা করেন।
ব্লিঙ্কেন বলেন, ইউক্রেন কখনই রাশিয়া হবে না। ইউক্রেন দৃঢ়ভাবে তার নিজের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণে সার্বভৌম ও স্বাধীন।
ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের আগে রাশিয়ার অবস্থা যা ছিল, বর্তমানে সামরিক, অর্থনৈতিক, ভূ-রাজনৈতিকভাবে দেশটির অবস্থা যে উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপ হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহই নেই, যোগ করেন ব্লিঙ্কেন।