আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ায় ছয়টি খাতে বিদেশী কর্মী নিয়োগে ১১ লাখ ৩৬ হাজার ২২টি কর্মসংস্থান কোটা অনুমোদন করেছে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়।
এর মধ্যে উৎপাদন খাতে ৪ লাখ ৬৯ হাজার ১০৬টি, নির্মাণ খাতে ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৮৯৯টি, সেবা খাতে ১ লাখ ৭১ হাজার ৪৯০টি, আবাদে ৮৫ হাজার ৬৭৮টি, কৃষিতে ৪৯ হাজার ৪৭৩টি এবং খনি ও খনন খাতে ৩৭৬টি কোটা অনুমোদন করা হয়েছে।
মোট কোটার মধ্যে ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৫৯০টি বা ৪১ শতাংশ চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে ১৮ মার্চের মধ্যে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
গত শুক্রবার (১৬ জুন) দেওয়ান রাকায়াতে (জাতীয় সংসদ) প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য লিম লিপ ইঞ্জির (পিএইচ-কেপং) এক প্রশ্নের জবাবে মালয়েশীয় মানবসম্পদ মন্ত্রী ভি শিবকুমার এসব তথ্য জানান।
শিবকুমার বলেন, নিয়োগকর্তাদের মাধ্যমে বিদেশি কর্মীদের প্রবেশ প্রক্রিয়ার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, দেশের স্বার্থ ও খ্যাতি যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতে নিয়োগকর্তাদের মাধ্যমে শ্রমের মানদণ্ড মেনে চলার দিকেও নজর রাখছে মালয়েশিয়া সরকার।
এদিকে, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্র বলছে, দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ২৭ হাজার ৭৫৯ জন নতুন কর্মী নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২ জুন পর্যন্ত ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৩২৮ কর্মীর চাহিদাপত্র সত্যায়ন করেছে হাইকমিশন। আর মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন (২ জুন পর্যন্ত) ১ লাখ ৬৩ হাজার ৪০৩ কর্মী। এছাড়া সত্যায়ন করা ১ লাখ ৯৩ হাজার ৯২৫ কর্মী বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর অপেক্ষায় রয়েছেন।
২০২২ সালের ৮ আগস্ট বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হওয়ার পর শুরুতে বাংলাদেশি কর্মী যাওয়ার গতি কিছুটা কম থাকলেও চলতি বছরের প্রথম থেকেই পুরোদমে কর্মী যাচ্ছে দেশটিতে। এর মধ্যে, জানুয়ারিতে গেছেন ২৪ হাজার ৯৯৪ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২৯ হাজার ৩২০ জন, মার্চে ২৮ হাজার ৫৮৯ জন এবং এপ্রিলে গেছেন ১৮ হাজার ৫৬৫ জন কর্মী।
সব মিলিয়ে গত পাঁচ মাসে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬৫৮ জন বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় পাড়ি দিয়েছেন বলে বিএমইটির বৈদেশিক কর্মসংস্থান সম্পর্কিত পরিসংখ্যান সূত্রে জানা গেছে।