অনলাইন ডেস্ক:
অভিবাসন নীতি নিয়ে বিরোধের কারণে ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডসের সরকার ভেঙে গেছে। ফলে দেশটিতে নতুন করে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। খবর: সিএনএন’র
প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের রক্ষণশীল ভিভিডি পার্টি নেদারল্যান্ডসে আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা কমিয়ে আনার প্রস্তাব দিলে চার দলীয় জোটের দুই দল তা নাকচ করলে সংকটের সূত্রপাত হয়।
মার্ক রুট শুক্রবার টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে বলেন, ‘অভিবাসন নীতি নিয়ে জোটের সদস্যদের ভিন্ন মত রয়েছে একদম তা পরিষ্কার। অতএব আজকের এই ভিন্নতা যেহেতু নিরসনযোগ্য নয়, আমি রাজার কাছে মন্ত্রিসভার পদত্যাগ জমা দিতে চাইছি।’
মূলত এরই মধ্যে নেদারল্যান্ডসে চলে আসা যুদ্ধশিশুদেরও দেশটিতে থাকতে না দেওয়ার প্রস্তাবে সমর্থন চাইলে অপেক্ষাকৃত ছোট দল ক্রিস্টিয়ান ইউনিয়ন ও লিবারেল ডি৬৬ তা মানেনি।
৫৬ বছর বয়সি রুট নেদারল্যান্ডসের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে সরকার পরিচালনাকারী নেতা। জেষ্ঠ্যতার দিক বিবেচনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে হাঙ্গেরির ভিক্টর ওর্বানের পরই রয়েছেন তিনি। আগামী নির্বাচনেও ভিভিডি পার্টির নেতৃত্ব দেওয়ার কথা তাঁর।
রুটের জোট সরকার ভেঙে গেলেও নতুন নির্বাচনের পর নতুন সরকার না আসা পর্যন্ত তারাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে রয়ে যাবে। নেদারল্যান্ডসের রাজনৈতিক ইতিহাস অনুযায়ী, নতুন একটি সরকার গঠন করতে কয়েক মাস লেগে যায়।
রুটের নেতৃত্বাধীন বর্তমান জোট সরকার ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসে। ২০১০ সালের অক্টোবরে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন তিনি, বর্তমান সরকার নিয়ে টানা চতুর্থবার সরকারপ্রধান রুট।