
যশোর প্রতিনিধি: ৪৮ ঘণ্টা ভারি বৃষ্টিপাতে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর ও কাস্টমস হাউসে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ ব্যাবসায়ীরা কাস্টমস হাউসে ফাইলপত্র নিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এছাড়া দ্রুত পানি নিষ্কাশন না হলে এবং বৃষ্টির মাত্রা বাড়লে শেডের (গুদাম) মধ্যে পানি ঢুকে কোটি কোটি টাকার আমদানি করা পণ্যের ক্ষতি হতে পারে বলে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।
সোমবার সারাদিন ও মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত একনাগাড়ে বৃষ্টিপাতের কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তারা।বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, বন্দর এলাকার পানি নিষ্কাশন হতে না পেরে বন্দর অভ্যন্তরে জমে ছিল। পরে অস্থায়ী পানি তোলার মোটর বসিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়।
স্থানীয়রা বলেন, এ স্থলবন্দরে অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। স্থলবন্দরে অনেক স্থানে পানি জমায় মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া।
সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী লাল্টু মিয়া জানান, পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলে বন্দরে হাঁটু পানিতে কয়েক বছর ধরে এমন দুর্ভোগ হলেও বন্দর কর্তৃপক্ষের কার্যকরী পদক্ষেপ নেই।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী ও অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, স্থানীয় বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে নানা অব্যবস্থাপনার কথা বলে আসছে। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ সেগুলো আমলে নেয়নি। এতে আমদানি পণ্য নষ্ট হচ্ছে। ফলে মোটা অংকের আর্থিক লোকশনের সম্মুখীন হচ্ছেন আমদানিকারকরা।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ডা. কাজী নাজিব হাসান বলেন, বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বেনাপোল পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে পানি নিষ্কাশনের দায়িত্ব দিয়েছি। স্থানীয় প্রশাসন ও পৌরসভার সমন্বিত উদ্যোগে পানি অপসারণের কাজ চলছে। আশা করছি, শিগগিরই বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে।
তিনি বলেন, যে সমস্যাটি দীর্ঘদিন ধরে ভোগাচ্ছিল, সেটির সমাধানে বেনাপোল বন্দর ব্যবস্থাপনা এবং স্থানীয় প্রশাসন একসঙ্গে কাজ করছে। সরেজমিন গেলে পরিবর্তনটি দেখা যাবে।
বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক শামীম হোসেন জানান, বেনাপোল স্থলবন্দরের শেডের মধ্যে যাতে পানি জমা না থাকে তার জন্য দ্রুত ওয়াটার পাম্পের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেছি।