অনলাইন ডেস্ক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তের বিপরীতে ভারতের অভ্যন্তরে আগরতলা আইসিপিতে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সকালে ভারতের আগরতলা আইসিপির ল্যান্ড কাস্টমস্ কনফারেন্স হলে বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) ও সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এবং বিএসএফের ৪২ ব্যাটালিয়ন, ১৫০ ব্যাটালিয়ন, ১০৪ ব্যাটালিয়ন ও ৮১ ব্যাটালিয়ন এর মধ্যে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বারের নেতৃত্বে ২৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া বৈঠকে বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজসহ সরাইল ও সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে, বিএসএফ ৪২ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী অজয় কুমারের নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া বিএসএফের ১৫০ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট ইশ্বর কুমার, ১০৪ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট এন এস জামওয়াল, ৮১ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট শ্রী রাজেশ কুমারসহ বিএসএফের অন্যান্য স্টাফ অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার নিমিত্তে সীমান্তে গুলিবর্ষণ ও সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, মাদক ও মানব পাচার প্রতিরোধ এবং চোরাচালানসহ বিভিন্ন আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করা হয়। এ সময় বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফ কর্তৃক সীমান্ত হত্যার জোরালো প্রতিবাদ জানানো হয় এবং এ সমস্যা সমাধানে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার ও শূন্যরেখা অতিক্রম, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ, ভারত থেকে মায়ানমার নাগরিকদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ রোধে সহায়তা এবং ভারত হতে বাংলাদেশে মাদক প্রবেশ বন্ধে বিএসএফকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোরালো আহবান জানানো হয়। এছাড়া উভয় দেশের সীমান্তে বসবাসকারী জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের বিষয়েও আলোচনা করা হয়। এ বিষয়ে সীমান্তবর্তী জনসাধারণের নিরাপত্তা এবং সীমান্তে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে উভয় প্রতিনিধিদলের প্রধান একসাথে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
উভয়পক্ষই বাংলাদেশ-ভারত যৌথ সীমান্ত চুক্তি-১৯৭৫ এবং সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (CBMP) আলোকে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে উদ্ভুত যেকোন সমস্যা দ্রুততম সময়ের মধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষ পর্যায়ে যোগাযোগ/পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানে একমত হন। পরিশেষে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ও শান্তিপূর্ণভাবে পতাকা বৈঠকটি সমাপ্ত হয়।