বগুড়া প্রতিনিধি:
তালগাছের সংখ্যা ক্রমাগত কমছে, বিপরীতে বাড়ছে বজ্রপাতে হার। পাশাপাশি গ্রামীণ ও প্রাকৃৃতিক সৌন্দর্যও নষ্ট হচ্ছে এবং ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছে প্রকৃতি। প্রাকৃৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও বজ্রপাতের ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশ এসএসসি ১৯৮৪ সালের ব্যাচের উত্তরবঙ্গের বন্ধুদের উদ্যোগে শেরপুর-ধুনট রোডে ১৯৮৪ টি তাল গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১১টায় শেরপুর-ধুনট রোডের শালফা থেকে বথুয়াবাড়ী পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকায় তাল গাছের চারা রোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমি অতিরিক্ত পরিচালক ড: আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এ সময় তিনি বলেন, এটা একটা ভালো উদ্যোগ এই কর্মসূচিকে আমি সাধুবাদ জানাই। এই তালগাছ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও বজ্রপাতজনিত দুর্ঘটনা হ্রাস করবে। একটা সময় গ্রাম-বাংলার বসতভিটা, প্রবেশপথ, পুকুরপাড়, অলিগলি, মেঠোপথসহ বিভিন্ন স্থানে দেখা যেত সারিসারি তালগাছ। তাতে ঝুলে থাকত বাবুই পাখির বাসা। খালে-বিলে দেখা যেত তাল গাছের তৈরি ডিঙ্গি নৌকা। শহরতলীতেও দেখা মিলত তালগাছের। তবে এদৃশ্য এখন শুধুই অতীত। এছাড়াও গরমকালে এখনও তাল পাতার তৈরি পাখা ও তাল শাঁসের বেশ কদর রয়েছে। পাকা তাল দিয়ে তৈরি গ্রামীণ পিঠাপুলিও পছন্দের তালিকায় রয়েছে নানাবয়সী মানুষের কাছে।
এ সময় বাংলাদেশ এস এস সি ১৯৮৪ সালের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা: ইব্রাহিম খলিল, আমিনুল বারী, দিলীপ কুমার সাহা, গোলাম মাহবুব মোর্শেদ, মামনুর রশিদ তুহিন, ডা: মো: শাহিন, নাসিম আহম্মেদ, জয়নাল আবেদীন হাফিজ, জাকির হোসেন, আলীয়া সুলতানা আলো, জহুরুল ইসলাম জুয়েল, খানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান মো: পিয়ার উদ্দিন।
আয়োজকরা জানান, তালের চারা রোপণের পর তা পরিচর্যা দেখভালের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
খানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: পিয়ার উদ্দিন জানান, এই ইউনিয়নের শারফা ও বোয়ালকান্দি মাঠ গরু-মহিষের বিচরণ ভূমি। প্রতি বছর বর্ষাকালে বজ্রপাতে কৃষকের প্রাণহানি ঘটে। তালের চারা রোপণের ফলে ভবিষ্যতে এই এলাকায় বজ্রপাত হ্রাসসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরো জানান, এই সকল চারা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে।