অনলাইন ডেস্ক :
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে তাদের বাঁধ সংকট সমাধানে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন।
তুর্কি সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ জানিয়েছে, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক দিন পরই পুতিন ও জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন এরদোগান।
দুই প্রতিবেশীর মধ্যে চলমান যুদ্ধের পরিস্থিতি যখন ক্রমবর্ধমান অবনতি হচ্ছে, তখন পুতিন ও জেলেনস্কির সঙ্গে পৃথক ফোনালাপ করেন তুর্কি নেতা। এ সময় তিনি ওই প্রস্তাব দেন।
তুর্কি সংবাদমাধ্যম হুরিয়াত ডেইলি জানিয়েছে, তুরস্কের ১৩তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বুধবার এরদোগান প্রথমে জেলেনস্কির সঙ্গে এবং তার পর পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন।
খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কাখোভকা জলবিদ্যুৎ বাঁধ ধ্বংসের জন্য এক দেশ আরেক দেশকে দোষারোপ করছে। এ প্রসঙ্গে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান বাঁধ ধ্বংসের ঘটনা তদন্তের জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেনের পাশাপাশি জাতিসংঘ এবং তুরস্কের বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণে একটি আন্তর্জাতিক কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নেতাদের সঙ্গে কথোপকথনের পর তুর্কি প্রেসিডেন্সি থেকে জারি করা পৃথক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
ফোনালাপে এরদোগান তার সমকক্ষদের আরও বলেছেন, তুরস্ক এই লক্ষ্যে যা কিছু করা দরকার তা করতে প্রস্তুত আছে। এ প্রেক্ষাপটে যুদ্ধরত দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত শস্য চুক্তির কথা স্মরণ করিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট। তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ওই চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আরও বলেছে, এরদোগান ইউক্রেন ও রাশিয়ান নেতাকে আলোচনায় ফিরে আসারও আহ্বান জানান। কারণ যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ার ফলে আরও বেসামরিক লোক হতাহতের ঘটনা ঘটবে। আঙ্কারা একটি ন্যায়সঙ্গত শান্তির জন্য তার প্রচেষ্টা অব্যাবহত রাখতে চায় বলেও জানান এরদোগান।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের মাঝামাঝি শস্য চুক্তি হয়। এর পর থেকে ৩০ মিলিয়ন টনেরও বেশি ইউক্রেনীয় শস্য বিশ্ব বাজারে রপ্তানি করা হয়েছে।