অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচনের এক বছর আগেই পার্লামেন্টের সদস্যপদ (এমপি) ছাড়লেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। পদত্যাগের জন্য প্রিভিলেজেস কমিটিকে দায়ী করে শুক্রবার এক চিঠিতে জানান, ‘আমাকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’খবর বিবিসির।
কনজারভেটিভ পার্টির সদ্য পদত্যাগ করা এই নেতা বলেছেন, হাউজ অব কমন্সের কমিটি থেকে একটি চিঠি পেয়ে ‘অবাক ও আতঙ্কিত’ হয়েছেন তিনি।
পার্টিগেট কেলেঙ্কারি ইস্যুতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে হাউজ অব কমন্সকে বিভ্রান্ত করেছেন কি না, এ নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে ওই চিঠিতে তাকে জানানো হয়েছিল। এ ঘটনায় বরিস বলেন, ‘স্পষ্টতই, পার্লামেন্ট থেকে আমাকে সরাতে এসব করছে তারা।’
করোনার চূড়ান্ত মুহূর্তে ডাউনিং স্ট্রিটে একটি পার্টিতে অংশ নিয়েছিলেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী বরিস ও অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক। লকডাউনে এমন আয়োজনে অংশ নিয়ে আইন ভঙ্গের কারণে জরিমানার মুখোমুখি হতে হয় তাদের। এ ঘটনাকে ‘পার্টিগেট কেলেঙ্কারি’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়।
তদন্তের প্রতিবেদনকে ‘অসত্য, অযৌক্তিক ও অন্যায্য’ বলে দাবি করেছেন বরিস। যদিও তদন্ত প্রতিবেদনেটি এখনও জনসাধারণের উদ্দেশে প্রকাশ করেনি তদন্ত কমিটি। কিন্তু চলতি বছরের মার্চে ঘটনাটি নিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে হাউজ অব কমন্সকে বিভ্রান্ত করার কথা স্বীকার করেছিলেন ব্রেক্সিট বাস্তবায়নকারী বরিস।
পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ২২ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের অবসান ঘটাতে চলেছেন এই নেতা।