অনলাইন ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলন গতকাল মঙ্গলবার লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে শুরু হয়েছে। দুই দিনের এই সম্মেলনে গুরুত্ব পাচ্ছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা জোরদার ও দেশটিকে ন্যাটোর সদস্যপদ প্রদান।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ন্যাটোর এই সম্মেলন থেকে যদি ইউক্রেনকে সদস্যপদ দেওয়ার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করা না হয়, সেটা হবে ‘অযৌক্তিক’। সম্মেলনে যোগ দিতে ভিলনিয়াসের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে দেওয়া পোস্টে তিনি এ কথা বলেন। সদস্যপদের বিষয়ে ন্যাটো মিত্রদের পক্ষ থেকে দুর্বল বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন জেলেনস্কি।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের অচিরেই ন্যাটোর সদস্য হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই ইঙ্গিত দিয়েছে হোয়াইট হাউস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট দপ্তরের কৌশলগত যোগাযোগসংক্রান্ত জাতীয় নিরাপত্তা পর্ষদের সমন্বয়ক জন কিরবির বক্তব্যে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
জন কিরবি বলেন, ‘আমরা মনে করি ন্যাটোতেই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ। আমি যেটা বোঝাতে চাচ্ছি, এ বিষয়ে জোটের সদস্যরা ২০০৮ সালেই একমত হয়েছেন। এখন দেশটির কিছু সংস্কারের প্রয়োজন হবে—সুশাসন, আইনের শাসন ও রাজনৈতিক সংস্কার। এসব বিষয়ে ইউক্রেনকে কাজ করতে হবে।’
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তা জন কিরবি আরও বলেন, ‘আমরা জানি, আপনি যখন যুদ্ধের মধ্যে থাকবেন, এ ধরনের কিছু সংস্কারের বিষয়ে কাজ করাটা কঠিন। তারা এখন যুদ্ধের মধ্যে আছে। তাই অদূর ভবিষ্যতে তাদের ন্যাটোর সদস্য হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ, এটি ন্যাটোকে সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে পারে।’