অনলাইন ডেস্ক:
ইসরায়েলের একজন মন্ত্রী দেশটির একটি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য, ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের হামলায় আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করা। বিক্ষোভের মুখে হাসপাতালের প্রবেশমুখ থেকে ফিরতে হয় তাকে।
আরেকজন মন্ত্রীকে উদ্দেশ করে কফি ছোড়া হয়। ওই মন্ত্রীর শরীরে না লাগলেও কফি গিয়ে পড়ে তাঁর দেহরক্ষীর ওপর। আরেক মন্ত্রী হামাসের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে ‘বিশ্বাসঘাতক’ ও ‘মূর্খ’ স্লোগান শুনতে হয়। এসব ঘটনা ঘটেছে ৭ অক্টোবরের পর থেকে। হামাস ওই দিন ইসরায়েলে নজিরবিহীন এক হামলা চালায়। খবর রয়টার্সের।
ইসরায়েলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪০০। আহত ৪ হাজার ৪৭৫ জন। অন্তত ৩০৪ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের হিব্রু ভাষার সংবাদপত্র ‘ম্যারিভ’ একটি জনমত জরিপ চালিয়েছে। এতে দেখা গেছে, হামাসের হামলার পর ২১ শতাংশ ইসরায়েলি নেতানিয়াহুকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চান। ৬৬ শতাংশ প্রধানমন্ত্রী পদে ‘অন্য কাউকে’ চান। আর ১৩ শতাংশ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।
তাই, এখন যদি ইসরায়েলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টি এক-তৃতীয়াংশ আসন হারাবে। এর সুবিধা পেতে পারেন নেতানিয়াহুর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মধ্যপন্থি ন্যাশনাল ইউনিটি পার্টির নেতা বেনি গান্তজ। দলটি নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
এ সংঘাত নেতানিয়াহুর পররাষ্ট্রনীতির সামনে দুটি চ্যালেঞ্জের জন্ম দিয়েছে। প্রথমত, সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া। ইতোমধ্যে এ উদ্যোগে ভাটা পড়েছে। দ্বিতীয়ত, ইরানের প্রভাব খর্ব করা। কেননা ইসরায়েল ভূখণ্ডে হামাসের সফল হামলাকে কার্যত ইরানের বিজয় হিসেবে ধরা হচ্ছে।