যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি
নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ চৌধুরী মাতাল হয়ে অকথ্য গালিগালাজ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ানকে। গত মঙ্গলবার (১১ জুন) দিবাগত গভীর রাতে নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে বাংলাদেশি বাণিজ্যিক পাড়ায় মদ্যপ ইমদাদের এমন আচরণে পথচারিরা বিব্রতবোধ করলেও সেখানে উপস্থিত যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ছিলেন নির্বিকার। এজন্যে অনেকেই সিদ্দিকুর রহমানকে দায়ী করছেন এমন আচরণে মদদদানের জন্য।
এদিকে এ ঘটনায় ১২ জুন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা ডাইভার্সিটি প্লাজা এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে এক অনির্ধারিত সভায় মিলিত হয়ে ইমদাদ চৌধুরীর মাতলামির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে বিষয়টি দলের হাই কমান্ডকে অবহিত করার সিদ্ধান্ত হয়। এ সভায় বক্তারা উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতির সাংগঠনিক দেউলিয়াত্বজনিত কারণে সাধারণ প্রবাসীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ব্যাপারে বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। মাতাল অবস্থায় এর আগে আর কখনো সিনিয়র নেতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেনি-যা খুবই দু:খজনক।
এ সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন উপদেষ্টা ড. প্রদীপ কর, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এম এ করিম জাহাঙ্গির, বাণিজ্য সম্পাদক ফরিদ আলম, নির্বাহী সদস্য খোরশেদ খন্দকার, জালালউদ্দিন জলিল, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ আতিক, কানেকটিকাট স্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির, জার্সি সিটি আওয়ামী লীগের আবু নসর প্রমুখ। এ সভায় গৃহিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের সমাবেশ আগামী ২২ জুন রাতে (বাংলাদেশের সাথে মিলিয়ে) করা হবে জ্যাকসন হাইটসে নবান্ন পার্টি হলে।
সিনিয়র নেতার সাথে অশ্রাব্য আচরণ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান জানান, কথা কাটাকাটি হয়েছে। যা ঘটেছে তা নিউজ হওয়ার মত নয়। আমি ওখানে ছিলাম।
মহিউদ্দিন দেওয়ান বলেন, গভীর রাতে পরিস্থিতি আরো ভয়ংকর হওয়ার আশংকা থেকেই আমি নিরবে সবকিছু সহ্য করেছি। আমি হতবাক যে, অকারণে ইমদাদ আমার ওপর চড়াও হয়েছিলেন মদ্যপ অবস্থায়।