যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি
আমেরিকায় বিএনপির কার্যক্রমে গতি আনার অভিপ্রায়ে লন্ডন থেকে নিউইয়র্কে এসেছেন বিএনপির অন্যতম আন্তর্জাতিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন। ২২ সেপ্টেম্বর অপরাহ্নে জেএফকে এয়ারপোর্টে তাকে বিপুল সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়।
সেখানে জড়ো হওয়া নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে আনোয়ার হোসেন খোকন বলেন, স্বৈরাচারের পতন ঘটাতে আমেরিকা প্রবাসীদের অপরিসীম ভূমিকা ছিল। দীর্ঘ ১৬ বছরের লাগাতার আন্দোলন-কর্মসূচিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সিটি ও স্টেটের বিএনপির কর্মীদের ত্যাগ গভীর কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এজন্যে তিনি আমাকে পাঠিয়েছেন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন কিছু কর্মসূচির সমন্বয় ঘটানোর জন্য। কারণ, জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুন্দর পরিবেশ তৈরী এবং পছন্দের প্রার্থীদের সমন্বয়ে পরবর্তী জাতীয় সংসদ গঠনে প্রবাসের নেতা-কর্মীদের ভূমিকার বিকল্প নেই। এছাড়া, সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার বিপ্লবে স্বৈরাচারের লেলিয়ে দেয়া গুণ্ডা বাহিনীর হাতে যারা আহত হয়েছেন-তাদের সুচিকিৎসা ও নিহতদের পরিবারকে অর্থ সহায়তারও প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
এ সময় এয়ারপোর্টে ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস আহমেদ, জিল্লুর রহমান এবং গোলাম ফারুক শাহীন। নিউইয়র্ক স্টেট ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দকে পাশে নিয়ে তারা আনোয়ার হোসেন খোকনকে ফুলেল শুভেচ্ছা এবং বিপুল করতালির মাধ্যমে স্বাগত জানান। এরপর নেতৃবৃন্দ জ্যাকসন হাইটস সংলগ্ন এলমহার্স্টে একটি রেস্টুরেন্টে ডিনার পার্টিতে মিলিত হন।
সেখানে স্টেট বিএনপির সভাপতি মাওলানা আতিকুর রহমান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিপি জসিমউদ্দিন, সেক্রেটারি সাঈদুর রহমান সাঈদ, আনিসুর রহমান ছাড়াও ছিলেন মহানগরের নেতৃবৃন্দ। এ সময় মূলধারার রাজনীতিক ও বিএনপি নেতা গিয়াস আহমেদ বলেন, দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশের অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ববরেণ্য ড. মুহম্মদ ইউনূসের আগমনে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সকল নেতা-কর্মী উচ্ছ্বসিত। এখনো স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসরেরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে চলেছে। আমরা যে কোন চক্রান্ত প্রতিহত করতে প্রস্তুত।