নাটোর প্রতিনিধি :
নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল থেকে শুক্রবার সেবিকার পোশাক পরে এক নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরি যাওয়া নবজাতকটি জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা ইউনিয়নের মহিষডাঙ্গা গ্রামের মাহফুজুর রহমান পলাশ ও হাসনা হেনা শিল্পী দম্পতির প্রথম সন্তান।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গৃহবধূ হাসনা হেনা শিল্পী সন্তান প্রসবের জন্য বুধবার নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে ভর্তি হন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি একটি কন্যাসন্তান প্রসব করেন। নবজাতকটি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত থাকায় কিছু সময়ের মধ্যেই তাকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। শুক্রবার সকালে হাসনা হেনা শিল্পীর সঙ্গে তার শাশুড়ি খায়রুন নাহারকে রেখে অন্যরা বাড়ি যান। এ সুযোগে বেলা ১১টা ৩৬ মিনিটের দিকে হাসপাতালের সেবিকার পোশাক পরা ২৫-২৬ বছর বয়সি এক নারী নবজাতকটিকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে নিয়ে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলে দাদির কাছ থেকে কোলে তুলে নেয়। সঙ্গে সঙ্গেই নবজাতকের দাদি খায়রুন নাহার শিশু ওয়ার্ডে ছুটে গিয়ে তার নাতনিকে আর পাননি। ওই নারীকেও আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার চিৎকারে হাসপাতালের লোকজন বিষয়টি পুলিশে জানান।
নাটোর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদসহ অন্য পুলিশ কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক এসে হাসপাতালের সিসি টিভির ফুটেজ পরীক্ষা করেন। এতে দেখা যায় বেলা ১১টা ৩৬ মিনিটে সেবিকার পোশাক পরা ২৫-২৬ বছর বয়সি ওই নারী নবজাতকটিকে কোলে নিয়ে সোজা হাসপাতালের প্রধান ফটক দিয়ে বের হয়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে চলে যায়।
নবজাতকটির চাচা সোনালী ব্যাংক নাটোর শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মিজানুর রহমান জানান, হারিয়ে যাওয়া নবজাতকটি তার আপন ছোট ভাই মাহফুজুর রহমান পলাশ ও হাসনা হেনা শিল্পী দম্পতির একমাত্র সন্তান। নবজাতকটি চুরি হওয়ার পর থেকে শিশুটির দাদি ও নানির চিৎকারে হাসপাতালের পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে।
নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আবু সাঈদ সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছেন।
নাটোর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিক তারা সিসি টিভির ফুটেজ দেখে ওই নারীকে আটক এবং শিশুটিকে উদ্ধার করতে অভিযান শুরু করেছেন। আশা করছেন খুব তাড়াতাড়ি তারা শিশুটিকে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিতে পারবেন।