বৃহস্পতিবার, ১০ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৯.৭৯°সে
সর্বশেষ:
ছাত্র আন্দোলনে নিজের ভূমিকা ও রাজনীতিতে আসার কারণ ব্যাখ্যা করলেন সাকিব ভারতের কাছে সিরিজ হারল বাংলাদেশ দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানাল ১৩০ ইসরায়েলি সেনা মুন্সীগঞ্জে শতাধিক পূজা মণ্ডপে বিএনপির অনুদান সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের জামিন মঞ্জুর গাইবান্ধায় ৩ নদীর ভাঙনে ২১ গ্রামের অস্তিত্ব বিলীন বাস্তুহীন ৪ হাজার পরিবার সেনাবাহিনী উদ্যােগের রাজস্থলীতে কেন্দ্রীয় পুঁজা মন্ডপে আর্থিক অনুদান প্রদান মাধুরীকে দেখে মুখ পুড়িয়ে ফেলেছিলেন অজয় দেবগন কুমিল্লায় “বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত নীলফামারীতে দুর্গাপূজার সকল প্রস্তুতি শেষ গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বিজের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ বগুড়ায় পূজার মার্কেট এবারও জমজমাট

নাইকো মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে বাদীকে জেরা অব্যাহত

অনলাইন ডেস্ক
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বাদী দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলমকে দ্বিতীয় দিনের মতো জেরা করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবী।

সোমবার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে এই মামলায় মামলার বাদী দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহা. মাহবুবুল আলমকে জেরার দিন ধার্য ছিল।
এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া হাজিরা দেন। এরপর তার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বাদীকে দ্বিতীয় দিনের মতো জেরা করেন। তবে জেরা শেষ না হওয়ায় অবশিষ্ট জেরার জন্য আগামী ১৯ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া এ তথ্য জানান।

গত ১২ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী মাহবুবুল আলম তার জবানবন্দি শেষ করেন। এরপর আসামি গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও সেলিম ভূঁইয়ার পক্ষে তাদের আইনজীবী তাকে জেরা শেষ করেন। এরপর গত ১০ অক্টোবর খালেদা জিয়ার পক্ষে তাকে জেরা শুরু করেন তার আইনজীবী।

গত ১৯ মার্চ এই মামলায় চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এরপর গত ২৩ মে আদালতে সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন মামলার বাদী দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম। তবে মামলার চার্জ গঠনের বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। গত ৩০ আগস্ট বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে দেন।

এ মামলার অপর আসামিরা হলেন তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্যে প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।

অপরদিকে, আসামিদের মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার নামে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

দুদকের করা অপর দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। সেখান থেকে পরে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায়ই সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান। বর্তমানে তিনি নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

ছাত্র আন্দোলনে নিজের ভূমিকা ও রাজনীতিতে আসার কারণ ব্যাখ্যা করলেন সাকিব
ভারতের কাছে সিরিজ হারল বাংলাদেশ
দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানাল ১৩০ ইসরায়েলি সেনা
মুন্সীগঞ্জে শতাধিক পূজা মণ্ডপে বিএনপির অনুদান
সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের জামিন মঞ্জুর
গাইবান্ধায় ৩ নদীর ভাঙনে ২১ গ্রামের অস্তিত্ব বিলীন বাস্তুহীন ৪ হাজার পরিবার

আরও খবর