বান্দরবান প্রতিনিধি
সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি বিস্ফোরণের শব্দ থামাতে আনাগোনা বেড়েছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী তুমব্রু বাজারসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে। তবে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর রাস্তাঘাট, ক্ষেতখোলা ও বসতভিটার আঙিনায় পাওয়া যাচ্ছে মিয়ানমারের ছোড়া গুলি, মর্টারশেলের গোলা ও বোমার অংশবিশেষ।
শনিবার সকালেও তুমব্রু নতুনখালের পার্শ্ববর্তী ধান ক্ষেতে আরও একটি অবিস্ফোরিত মর্টারশেলের গোলা পাওয়া গেছে। এর আগে শুক্রবার নোয়াপাড়া ও তুমব্রু বাজারপাড়ায় ২টি মর্টারশেলের গোলা পাওয়া যায়। এতে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে সীমান্তবাসীরা ঘরে ফিরলেও আতঙ্ক কাটেনি।
অপরদিকে শনিবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বান্দরবানের ঘুমধুম, তুমব্রু, জলপাইতলি, বাইশফাঁড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে কোনো গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, শান্ত হয়ে উঠেছে সীমান্ত। সীমান্ত পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হওয়ায় তুমব্রু বাজারে দোকানপাট খুলেছে। বাজারে আনাগোনা বেড়েছে মানুষজনের। কিন্তু সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় পরিত্যক্ত অবিস্ফোরিত গোলা, গুলি ও বোমার অংশবিশেষ পাওয়া যাচ্ছে। এতে আতঙ্ক কাটছে না সীমান্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের।
এ বিষয়ে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, সীমান্ত পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। নির্ধারিত এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়েই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হলে বিকল্প হিসাবে উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বা ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র স্থানান্তর হবে।সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।