বেরোবি প্রতিনিধি:
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর কেটে গেলেও আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত বেশিরভাগ শিক্ষার্থী। ফলে অনেকেই বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত খরচে থাকছেন মেস ও বাসা-বাড়িতে। আবাসন সংকটের সুযোগ নিচ্ছে মেস ও বাড়ি মালিকরা। ইচ্ছে মত ভাড়া বৃদ্ধি করছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি অনুষদের ২২টি বিভাগে প্রায় দশ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত। অপর দিকে আবাসিক হল রয়েছে মাত্র চারটি।যার মধ্যে ১০ তলা বিশিষ্ট শেখ হাসিনা ছাত্রী হল নির্মাণাধীন। বাকি তিনটি হল ছেলেদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হলে আসন সংখ্যা ৩০৪ টি,শহীদ মুখতার এলাহী হলে আসন সংখ্যা ২৪০টি ও মেয়েদের জন্য শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে আসন সংখ্যা ৩৪২টি।
দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সজিব মিয়া বলেন,বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের দেড় বছর প্রায় শেষ। কিন্তু হলে এখনও সিট পাইনি।হলে সিট সংখ্যা খুবই কম যার ফলে হলে সিট পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের হল সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করা হোক।
সদ্য অনার্স শেষ করা শিক্ষার্থী জাকের হোসেন পাশা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আবাসিক হলে সিট না পাওয়া সত্যি অনেকটা আক্ষেপ ও খারাপ লাগার। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষের পথে হলেও তবু হলে বৈধ পন্থায় সিট পাইনি। প্রায় ৬০০ কিলোমিটার পাঁড়ি দিয়ে যখন স্বপ্ন ছোঁয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই তখন একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আবাসনের অনিশ্চয়তায় ভুগতে হয়, যা অনেক চ্যালেঞ্জের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, বৈধভাবে হলে শিক্ষার্থী ওঠানোর ব্যাপারে প্রশাসন উদাসীন। যারা রাজনীতি করে তারাই কেবল হলে ওঠার সুযোগ পায়। যার ফলে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল প্রভোস্ট বিজন মোহন চাঁকী ঢাকা ওয়েভকে বলেন, আবাসন সংকটের কারণে আমাদের প্রায় ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী হলের সিট পাচ্ছে না। তাদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। আমরা তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল। আমরা বার্ষিক যে বাজেট পাই তা দিয়ে হল তৈরি করা সম্ভব নয়। হল তৈরির জন্য প্রয়োজন বিশেষ বাজেট। এছাড়া আবাসন সংকটের বিষয়টি ইউজিসিকে চিঠি হয়েছে।