অনলাইন ডেস্ক :ইরাকের প্রেসিডেন্ট আবদুল লতিফ রশিদ ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন নিয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের সংকট নিরসনে নতুন প্রশাসনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। মধ্যপ্রাচ্য শান্তি ও নিরাপত্তা ফোরামে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রশিদ বলেন, ইউরোপের যুদ্ধ থেকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত পর্যন্ত সব সংকট সমাধানে আমরা ট্রাম্প প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের প্রত্যাশা করছি।
প্রেসিডেন্ট রশিদ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কর্মকাণ্ডকে ‘বৃহৎ অপরাধ’ আখ্যা দিয়ে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণ আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার পাবে, তারা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করবে এবং তাদের পরিবার দেখাশোনা করবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
রশিদ আরও বলেন, ইসরায়েলি-গাজা সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যের ঐক্যের সূচনা হতে পারে। আমরা ভালো সম্পর্ক ও ঐক্য চাই। এই অঞ্চল ইতিহাস, সম্পদ ও জনগণের দিক থেকে অন্যতম শক্তিশালী হতে পারে।
প্রেসিডেন্ট রশিদ ইরাকের সাম্প্রতিক স্থিতিশীলতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ইরাকের জনগণ কয়েক দশকের যুদ্ধ, সন্ত্রাস ও সংকট অতিক্রম করেছে। এখন আমরা শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার নতুন অধ্যায় শুরু করছি।
তিনি জানান, ইরাক পুনর্গঠন ও উন্নয়নের জন্য অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রয়োজন। আমরা সম্পদশালী দেশ এবং দীর্ঘদিন ধরে সমৃদ্ধ সভ্যতা ও সংস্কৃতি ধরে রেখেছি। ভবিষ্যতে আমরা উন্নয়নের পথে আরও এগিয়ে যাব, রশিদ যোগ করেন।
Leave a Reply