শনিবার, ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ১৫.১৬°সে
সর্বশেষ:
প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসীদের দমন করে দেশে শান্তি ফিরিয়ে এনেছেন: খাদ্যমন্ত্রী সিসিইউ থেকে কেবিনে খালেদা জিয়া যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশির ১৪ মাসের জেল ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় পল্লী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার পাকিস্তানে ঈদে মিলাদুন্নবীর মিছিলে বোমা হামলা, নিহত ৫২ রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ সরকার, প্রত্যাশা যুক্তরাষ্ট্রের পৃথিবীতে ফিরলেন মহাকাশে আটকে পড়া নভোচারীরা চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে গরু ব্যবসায়ী নিহত টাঙ্গাইলে খাদিজা হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার শাহরুখের কায়দায় ফেরার আভাস দিলেন সালমান বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা

টাইটানিক দেখতে গিয়ে নিখোঁজ সাবমেরিন

অনলাইন ডেস্ক:আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে পর্যটকবাহী একটি সাবমেরিন নিখোঁজ হয়েছে। সাবমেরিনটি উদ্ধারে তৎপরতা শুরু হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সাবমেরিনটির কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। মার্কিন কোস্ট গার্ডের অনুমান সাবমেরিনটিতে মাত্র ৭০ ঘণ্টার অক্সিজেন অবশিষ্ট রয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি মার্কিন কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মগারের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।

স্থানীয় সময় সোমবার (১৯ জুন) বিকেলে রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মগার বলেছেন, ‘আমরা অনুমান করছি যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে মাত্র ৭০ ঘণ্টা চলার মতো অক্সিজেন মজুত রয়েছে সাবমেরিনটিতে। যেখানে এর সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন।’

রিয়ার অ্যাডমিরাল উদ্ধার তৎপরতা বিষয়ে বলেন, দুটি বিমান, একটি সাবমেরিন এবং সোনার বয়া নিখোঁজ সাবমেরিনটির অনুসন্ধানে জড়িত রয়েছে। কিন্তু অনুসন্ধান এলাকা তীর থেকে বেশ দূরে হওয়ায় অনুসন্ধান কঠিন হয়ে পড়েছে।

সমুদ্রের প্রায় ৩৮০০ মিটার বা ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে পড়ে আছে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ। ছোট আকারের সাবমেরিনে করে পর্যটকরা প্রায়ই সেখানে ওই ধ্বংসাবশেষ দেখতে যান। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওশেনগেট এক্সপিডিশন পর্যটকদের আটলান্টিকের তলদেশে নিয়ে যাওয়ার কাজ করে থাকে।

ধ্বংসস্তূপের কাছে যাওয়ার জন্য কয়েক দিনের ভ্রমণে হাজার হাজার ডলার ব্যয় হয়। ৮দিনের ভ্রমণের জন্য একজন যাত্রীর কাছে থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার নিয়ে থাকেন প্রতিষ্ঠানটি।

ওশেনগেট এক্সপিডিশনের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, বর্তমানে তাদের একটি সাবমেরিন সমুদ্রের তলদেশে রয়েছে। এছাড়া ২০২৪ সালে আরও দুটি সাবমেরিন পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

সাবমেরিনটিতে মাত্র পাঁচজন বসতে পারেন। এর মধ্যে তিনজন পর্যটক। বাকি দুজনের একজন সাবমেরিনের চালক ও অন্য আরেকজন কন্টেন্ট এক্সপার্ট। সমুদ্রতলে অবতরণ ও আরোহণে প্রায় আট ঘণ্টা সময়ের প্রয়োজন হয়।

১৯১২ সালে তৎকালীন বিশ্বের বৃহত্তম যাত্রীবাহী এই জাহাজ সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে প্রথম সমুদ্রযাত্রায় বিশাল বরফখণ্ডের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়। জাহাজটিতে ২ হাজার ২০০ জন যাত্রী ও ক্রু ছিলেন। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় তাদের মধ্যে এক হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মারা যান।

১৯৮৫ সালে ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়ার পর থেকে টাইটানিক নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চলছে। প্রায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটক বিখ্যাত এই জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে আটলান্টিকের তলদেশে ভ্রমণে যান। কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূল থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরে জাহাজের ধ্বংসাবশেষের অবস্থান রয়েছে।-/

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী
পাকিস্তানে ঈদে মিলাদুন্নবীর মিছিলে বোমা হামলা, নিহত ৫২
রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ সরকার, প্রত্যাশা যুক্তরাষ্ট্রের
পৃথিবীতে ফিরলেন মহাকাশে আটকে পড়া নভোচারীরা
বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা
আপনাকে ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প’ নয়, ‘ডোনাল্ড ডাক’ ডাকবো : ক্রিস ক্রিস্টি

আরও খবর