এম আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী।।
বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল সমাজসেবায় ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে বিশেষ অবদান রাখায় ‘চিত্রনায়ক ফারুক স্মৃতি সম্মাননা পদক-২০২৩’ এ ভূষিত হয়েছেন।বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু একাডেমীর উদ্যোগে ১ জুন, বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিটিউট মিলনায়তনে সদ্য প্রয়াত সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান (চিত্রনায়ক ফারুক) এর স্মরণসভা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলির সদস্য জননেতা মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে এই পদক প্রদান করেন।
সংগঠনের সভাপতি শেখ ইকবাল খোকন এর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার সারওয়ার হোসেন, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল, বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি এড. আসাদুজ্জামান দুর্জয় ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মতিউর রহমান মতি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু বলেন, চিত্রনায়ক ফারুক একজন জনপ্রিয় ও জননন্দিত অভিনেতা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অগ্রসৈনিক ছিলেন। তিনি আজীবন মানবসেবায় কাজ করেছেন। বর্তমান সময়ে দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে ও রাজনীতিতে চিত্রনায়ক ফারুকের মতো আদর্শের কর্মীর যথেষ্ট প্রয়োজন রয়েছে। তার গুণাবলি নতুন প্রজন্মকে অনুস্মরণ ও অনুকরণ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, মানুষের গুণাবলি উজ্জীবিত করতে চিত্রনায়ক ফারুকের অভিনীত চলচ্চিত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। চিত্রনায়ক ফারুক আজীবন বেঁচে থাকবেন মানুষের হৃদয়ে।
অনুষ্ঠানে লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল-কে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘চিত্রনায়ক ফারুক স্মৃতি সম্মাননা-২০২৩ প্রদান করে প্রধান অতিথি মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু বলেন, লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত একজন দেশপ্রেমিক মানুষ।
উল্লেখ্য যে, লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের মাধ্যমে ও ব্যক্তিগতভাবে আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। ইতিমধ্যে তিনি মানবসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ‘মেলভিন জোন ফেলো-এমজেএফ’ উপাধিসহ শতাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। তিনি প্রায় ৩০ বছর যাবত সর্বস্তরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে কাজ করে আসছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে গবেষণা করছেন এবং তার গবেষণালব্ধ প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও কলাম বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক গণমাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার হয়ে আসছে। তার এসকল লেখা ইতোমধ্যে যথেষ্ট পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তার এই সকল গবেষণালব্দ লেখা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সর্বস্তরে বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
তার নিজ জন্মস্থান গাজীপুর জেলার শ্রীপুরে স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, শিশু ও গণশিক্ষা কেন্দ্র, পাঠাগার প্রভৃতি জনহিতকর প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় মূখ্য ভূমিকা পালন করে আসছেন। তিনি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে স্বীয় দায়িত্ব প্রশংসা ও দক্ষতার সাথে পালন করে আসছেন। বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক সংবাদপত্রে প্রবন্ধ, কবিতা ও ছড়া লেখে তিনি ইতোমধ্যে যথেষ্ট পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি উক্ত সম্মাননা পদকে ভূষিত হওয়ায় বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।