অনলাইন ডেস্ক:
চট্টগ্রামে জমে উঠছে অমর একুশে বইমেলা। সিআরবি শিরীষ তলায় প্রথমবার বইমেলার আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। বইমেলা ঘিরে নিরাপত্তা ও দর্শনার্থী আগমন নিয়ে শঙ্কা ছিল প্রকাশকদের মনে। তবে প্রথম দিনে আশানুরূপ বই বিক্রি হয়েছে প্রতিটি স্টলে। দ্বিতীয় দিনেও দর্শনার্থীদের ভিড় সেই শঙ্কা একেবারে কাটিয়ে উঠেছে প্রকাশকরা। যার কারণে বইমেলায় অংশ নেওয়া লেখক ও প্রকাশকরা বেশ উচ্ছ্বসিত।
রাদিয়া প্রকাশনের প্রকাশক অধ্যাপক গোফরান উদ্দীন টিটু বলেন, বইমেলার প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। শুরুর দিন বেশ ভালো বই বিক্রি হয়েছে। দ্বিতীয় দিনও দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষণীয়। আমরা মনে করেছিলাম সিআরবিতে বইমেলার আয়োজন করার কারণে হয় তো দর্শনার্থী কম আসবে। কিন্তু আমাদের সেই শঙ্কা দুইদিনে কেটে গেছে। আমরা আশাবাদী অতীতের মতো এবারের বইমেলায় ভালো বই বিক্রি হবে।
শিশুসাহিত্যিক ও শালিক প্রকাশনীর প্রকাশক আখতারুল ইসলাম বলেন, মেলায় প্রথম দিনে পাঠক ও দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ভালো ছিল। স্টলগুলোতে বিক্রিও ভালো হয়েছে। শিশু জোনটা আরও বড় পরিসর এবং গুছানো হলে শিশুরা আরও আগ্রহী হতো।
চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সভাপতি সাহাব উদ্দীন হাসান বাবু বলেন, এবারের বইমেলায় ১৫৫টি স্টলে বিভিন্ন প্রকাশনী প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। স্টল সংকটের কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বেশ কিছু প্রকাশনা সংস্থা অংশ নিতে পারছে না। প্রথম দিনে বইপ্রেমীরা ভিড় করেছে। বিকিকিনিও ভালো হয়েছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আয়োজনে চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ, চট্টগ্রাম নাগরিক সমাজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহযোগিতায় সম্মিলিত এ বইমেলা হচ্ছে। এবারের মেলায় ঢাকা-চট্টগ্রামের ৯২টি প্রকাশনা সংস্থার ১৫৫টি স্টল অংশ নিয়েছে। ৪৩ হাজার বর্গফুটের শিরীষতলায় এ মেলা চলবে ২ মার্চ পর্যন্ত।