অনলাইন ডেস্ক:
গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের স্কুলের শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে প্রতিবাদ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ।বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর ) ম্যানহাটন ও কুইন্সে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে মাধ্যমিকের স্কুলের শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচি থেকে অবিলম্বে গাজাকে মুক্ত করে দেয়া না হলে আমেরিকাকে অচল করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন শিক্ষাথীরা।
বিক্ষোভকারীরা নিউইয়র্ক সিটির মিডটাউন, নিউইয়র্ক পাবলিক লাইব্রেরী ও কুইন্স বরোর বিভিন্ন এলাকায় সমাবেশ ছাড়াও বিশ্বখ্যাত ইংরেজী দৈনিক দ্য নিউইয়র্ক টাইমস কার্যালয়ের সামনেও প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
নিউইয়র্ক টাইমস ও সিটির অন্যতম দৈনিক নিউইয়র্ক পোস্টসহ কোন কোন মিডিয়া প্যালেস্টাইনের বিরুদ্ধে এবং ইসরায়েইলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে এমন অভিযোগ করে টাইমস ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে। এ সময় নিউইয়র্ক টাইমস ভবনের সামনে বিশেষ পুলিশী ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
প্রো- প্যালেস্টাইন গ্রুপগুলোর আহবানে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা স্কুলগুলোতে হাজিরা দিয়ে আবার স্কুল থেকে বের হয়ে সমাবেশগুলোতে অংশ নেয়। তাদের সাথে অনেক স্কুলে শিক্ষকরাও অংশ নেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ম্যানহাটনের ব্রায়ান পার্কের সামনে জড়ো হন কয়েক শত শিক্ষার্থী। তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে নানা বয়সের, নানা ধর্ম ও বর্ণের হাজারো মানুষ এ প্রতিবাদ-বিক্ষোভে যোগ দেন। এমনকি নিউইয়র্কে বসবাসরত বিপুল সংখ্যক ইহুদি ধর্মাবলম্বী ও ইসরায়েইলী নাগরিকও ফিলিস্তিনের পক্ষে শ্লোগান দেন।
বিক্ষোভ চলাকালে যুদ্ধ বন্ধ ও গাজাকে অবিলম্বে মুক্ত করে দেয়ার দাবী সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন তারা। এসময় ফিলিস্তিনের পতাকার পাশাপাশি বাংলাদেশী পতাকাও দেখা যায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভ কর্মসূচিতে।
সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা জানায়, জাতিসংঘসহ পুরো দুনিয়ার প্রতিবাদ সত্ত্বেও গাজার নিরীহ জনগণের ওপর বর্বর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েইল। প্রতিদিন হাজার হাজার নারী, শিশু ও বেসামরিক মানুষকে তারা পাথির মত হত্যা করছে। অথচ, এ অমানবিক ও বর্বর যুদ্ধাপরাধকে স্পষ্ট সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইসরায়েইলকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা দিয়ে সমাবেশে বক্তারা বলেন, এই সন্ত্রাসীদের সহযোগিতার জন্য আমেরিকার জনগণের ট্যাক্সের বিলিয়ন বিলয়ন ডলার খরচ করার এখতিয়ার বাইডেন সরকারের নেই। ইসরাইল অভিমূখী আর কোন যুদ্ধ সামগ্রিবাহী জাহাজ আমেরিকা ছেড়ে যেতে পারবে না বলেও হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভকারীরা ম্যানহাটনের রাজপথে মিছিল নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।