আনোয়ার হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ বিদ্যালয় মোদের বিদ্যালয়, এখানে সভ্যতারি ফুল ফোটানো হয়। সত্য সত্যিই সভ্যতারি ফুল ফোটানো হয় নলডাঙ্গা উমেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে।গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা রেল ওয়ে স্টেশনের পাশেই এক নয়নাভিরাম ও মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশে এ প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান।
জানা যায়, ৪ একর ২৫ শতাংশ জমির ওপরে এটি স্থাপিত হয় ১৯৪৬ সালে। সমাজ, দেশ ও জাতীয় কল্যাণে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার মানসে এ প্রতিষ্ঠানের সূচনা। তৎকালীন সময়ে কিছু উদারমনা মানুষের শুভ কামনা আর আন্তরিক প্রচেষ্টায় গড়ে তোলা হয় এ প্রতিষ্ঠানটি। মূলত তখন এটি ছিল জৌলস বিহীন টিন সেডের ঘর। বেতন নেই, ভাতা নেই, শ্রেণি কক্ষ নেই, তেমন ছাত্র/ছাত্রী নেই, শুধু নেই আর নেই। কিছু উদার মনা মানুষের শুভ কামনা আর বুদ্ধি পরামর্শ, শিক্ষক নামের ওই তরুনদের উদ্যমতা, আশে-পাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর চ্যালেঞ্জে থেমে যায়নি এর পথ চলা।
প্রতিষ্ঠানটি উন্নয়নের সিঁড়ি বেয়ে এগিয়ে চলার ধারাবাহিকতার মুখে ২০১৫ সালে এর হাল ধরেন উদ্যমী শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব সুনীল কুমার গাঙ্গুলী।
তিনি প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করে প্রথমেই দৃষ্টি দেন পাঠদানে দক্ষতা বৃদ্ধি, ছাত্র/ছাত্রী অভিভাবকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ, অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন দিকে। তার এ উদ্যোগে এগিয়ে আসেন প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পরিষদ। প্রতিটি সুযোগকে সুন্দরভাবে কাজে লাগান প্রধান শিক্ষক সুনীল কুমার গাঙ্গুলী।বর্তমান এ প্রতিষ্ঠানটি এলাকার মানুষের কাছে তথা সাদুল্লাপুরবাসীর জন্য আশীর্বাদ।
প্রধান শিক্ষক সুনীল কুমার গাঙ্গুলী জানান, প্রতিবছর সন্তোষজনক ফলাফল নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সফলতা অর্জন করলেও অবকাঠামোগত দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে। এখান ১৯৯৫ সালে সরকারি অর্থায়নে নির্মাণ করা হয় একটি দোতলা ভবন। ৫০/৬০ বছর পূর্বের নির্মিত ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় ওই দোতলা ভবনে প্রায় ৮’শ জন শিক্ষার্থীর পাঠদান দেয়া হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে প্রশাসনিক কার্যক্রম। এ ভবনে ছাদ ও দেয়ালের প্লাস্টার আপনা-আপনি ধ্বসে পড়ছে। যে কোনো সময়ে ঘটতে পারে মারাত্মক দূর্ঘটনা। এখানে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ জরুরী হয়ে পড়েছে। এ জন্য সরকারের নেক দৃষ্টি একান্ত প্রত্যাশা।