আনোয়ার হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধায় কে এই আব্দুল মান্নান? গাছের গুঁড়ি, কাঠ পুড়িয়ে অবৈধভাবে তৈরি করছে কয়লা। তার এ কর্মকাণ্ডে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটলেও মিলছেনা ব্যবস্থা। অভিযোগ এলাকাবাসীর।
জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা শহর হতে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে কিশোরগাড়ী ইউনিয়নে অবস্থিত দিঘলকান্দী গ্রাম। এ গ্রামে প্রায় ২২ শতক জমির জায়গা জুড়ে তৈরি করা হয়েছে কয়লা তৈরির কারখানা। এর চারদিকে রয়েছে আমন ফসলের মাঠ ও বসতবাড়ি। এ কারখানার নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। চুল্লি থেকে নির্গত ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ, নষ্ট হচ্ছে ফসল। আশপাশের লোকজন ভুগছে স্বর্দি কাশিসহ নানা সমস্যায়। প্রতিটি চুল্লিতে প্রতি দফায় ২০০ থেকে ৩০০ মণ কাঠ পোড়ানো হয়। ৮ থেকে ১০ দিন পোড়ানোর পর তৈরি হয় কয়লা।
স্থানীয় গ্রামবাসী বলেন, দিঘলকান্দী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান গড়ে তুলেছেন এই কয়লা তৈরির কারখানা। ৩ মাস ধরে এখানে গাছের গুঁড়ি পুড়িয়ে কয়লা তৈরি হচ্ছে। কারখানায় রয়েছে আটটি চুল্লি। এই চুল্লির নির্গত কালো ধোঁয়া পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করলেও মিলছেনা ব্যবস্থা।
কারখানার কর্মচারীরা বলেন, কারখানায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নেই। তবে কারখানা মালিক পরিবেশের ছাড়পত্র ও প্রশাসনের অনুমতির জন্য কাগজপত্র দাখিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান বলেন,কাঠ দিয়ে কয়লা তৈরির বিষয়টির লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগীতায় কারখানাটির মালিকের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply