দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির প্রস্তুতিকালে পাঁচজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মোহনপুর ইউপির চৌধুরীহাট বালাপুকুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে কঙ্কাল চুরির প্রস্তুতিকালে তাদের আটক করা হয়।
এর আগে, এই কবরস্থান থেকে একবার এবং পার্শ্ববর্তী তুলশীপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে দুইবার কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটে।
সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দেবাশীষ চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফজলে এলাহী।
আটক ব্যক্তিরা হলেন-শেরপুর জেলার নকলা থানার আদর্শগ্রাম টাঙ্গাইলা পাড়ার মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে মো. লালচান (৩০), একই গ্রামের বাবর হোসেনের ছেলে মো. আব্দুস সোবাহান ওরফে সফু (২৮), মৃত ছাবেদ আলীর ছেলে মো. ফরিদ ওরফে শেখ ফরিদ (২৪), ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার আলী নগর গ্রামের মৃত ওসমান গণির ছেলে মো. সেরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজুল ইসলাম (২৭) এবং একই জেলার কোতয়ালী মডেল থানার অষ্টধর গ্রামের মো. তাজিম উদ্দিন ওরফে আজিজুল ইসলামের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন বাবু (২৫)।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা চৌধুরীহাট বালাপুকুর কেন্দ্রীয় কবরস্থান, তুলশীপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানসহ দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন কবরস্থান থেকে মৃত ব্যক্তির কঙ্কাল-হাড়গোড় চুরির সাথে জড়িত। তারা কঙ্কাল চুরি চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং তারা পুরাতন কবরগুলো টার্গেট করে ২/৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কঙ্কাল চুরি করে। চুরি করা কঙ্কালগুলো রংপুরসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ৬ হাজার ৫০০ থেকে ৭ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করে। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে কঙ্কাল চুরির কাজে ব্যবহৃত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বীরগঞ্জ থানায় তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়।
এসময় বীরগঞ্জ থানার ওসি মো. আব্দুর রাজ্জাক, মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহিনুর ইসলামসহ জেলা ও উপজেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।