অনলাইন ডেস্ক:
রাশিয়ার বেসরকারি তথা ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ দেশটির সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে। এরই মধ্যে ২৫ হাজারের বেশি সেনা নিয়ে সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে রাজধানীর পথে যাত্রা শুরু করেছেন বিদ্রোহীরা। এ অবস্থায় রাশিয়ার রাজধানী মস্কোসহ দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। খবর আলজাজিরা, রয়টার্স ও টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যগুলো জানিয়েছে, ইউক্রেন সীমান্তের অনেক এলাকায় এরই মধ্যে রুশবাহিনী ও ওয়াগনারের যোদ্ধারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। বিদ্রোহ দমনে ইতোমধ্যে ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কার্যালয় ক্রেমলিন।
খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের পূর্বে রোস্তভসহ কয়েকটি শহরে রুশ সেনাদের সঙ্গে ওয়াগনার যোদ্ধাদের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। সেখানকার স্থানীয় প্রশাসন রোস্তভের বাসিন্দাদের ঘরে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মস্কো যাওয়ার হাইওয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন রাশিয়ান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিতের দাবি করেছেন। হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, যারাই সামনে আসবে, সর্বশক্তি দিয়ে তাদের মোকাবিলা করা হবে।
খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার রাজধানী মস্কোসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি খানিকটা অস্পষ্ট হলেও সেনাসদস্যরা সরকারি ভবন, বাস স্টপেজ, রেলস্টেশনগুলোসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোয় টহল বাড়িয়েছে।
এর আগে শুক্রবার এক টেলিগ্রাম বার্তায় ওয়াগনার প্রধান আবারও দাবি করেন যে, দুই হাজার ওয়াগনার সেনাকে হত্যা করেছেন রুশ সেনারা। তবে এর পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি প্রিগোজিন। তবে নিজের বাহিনীর সদস্যদের হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
তা ছাড়া ওয়াগনারপ্রধান তাদের এই কর্মকাণ্ডকে সামরিক অভ্যুত্থান বলতে নারাজ। তার মতে, এটি ন্যায়বিচারের যাত্রা। মস্কোর সামরিক নেতৃত্ব উৎখাত করাই তাদের লক্ষ্য।