অনলাইন ডেস্ক:
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির এক দফা তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর আমাদেরও এক দফা তা হচ্ছে- সংবিধান সম্মত নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।
বুধবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররম কেন্দ্রীয় মসজিদের দক্ষিণ গেইটে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কাদের বলেন, খেলা নির্বাচন পর্যন্ত চলবে। আর ছাড়বেন না। যখন ডাক দেব তখন মাঠে চলে আসবেন।
বিএনপির উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী বলেন, কোনো বাধা দেব না। কাউকে আক্রমণ করতে যাব না। ঢাকায় যেসব বিদেশি বন্ধুরা এসেছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই- আপনারা চান অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। আমাদেরও লক্ষ্য একই। কিন্তু এ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনকে যারা বাধা দেবে তাদের প্রতিহত করব।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোনো অপশক্তির সঙ্গে আপস করবেন না। যারা মায়ের বুক খালি করেছে, রক্তের হলি খেলা করেছে তাদের সঙ্গে আপস নয়। যাদের হাতে রক্তের দাগ তাদের সঙ্গে আপস নয়। যারা ১৫ই আগস্ট, জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে তাদের সঙ্গে আপস করতে পারি না।
তিনি বলেন, বিএনপির এক দফা হচ্ছে শেখ হাসিনার পদত্যাগ। আমাদের কথা একটা শেখ হাসিনা ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না। নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হবেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের মানুষ যে নেত্রীকে পছন্দ করেন, যার উন্নয়নকে পছন্দ করেন, যার পরিশ্রম ও সততাকে পছন্দ করেন তার অধীনে নির্বাচন হবে।
বিএনপির নির্বাচন ভীতি নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি জানে নির্বাচন হলে তারা হেরে যাবে। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তায় তারা ভেসে যাবে। সেজন্য তারা শেখ হাসিনাকে হিংসা করে। যারা পদ্মাসেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু টানেল চায়নি, দেশের উন্নয়ন পছন্দ করে না তারা শেখ হাসিনাকে চায় না। আমরা বলতে চাই স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন শেখ হাসিনা। আর ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্র হবে।