ভয়েজ অব নিউজার্সি রিপোর্ট:
কুমিল্লায় ধর্ষনের শিকার হয়ে ৭মাসের গর্ভবতি এক নারী অনাগত সন্তানের পিতৃত্বের স্বীকৃতি ও ধর্ষকের বিচারদাবী করে পুলিশের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন এক অবিবাহিত নারী। ধর্ষনের ঘটনাটি ঘটেছে গত ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে। কুমিল্লা কোতয়ালী থানায় দায়েরকরা অভিযোগে
জানাযায়, কুমিল্লা নগরীর ৮নং ওয়ার্ডের ঠাকুরপাড়া এলাকায় এসএমই ফোরাম নামক একটি নারী উন্নয়ন নামক প্রতিষ্ঠানের অংশীদারীত্বে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করতেন আমেনা আক্তার। এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও এমডি চাষী মামুন,বয়স প্রায় ৫০। গত ২৫ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে চাষী মামুন ঐ অফিসে আমেনাকে কোকের সাথে নেশাজাতীয় কিছু একটা খাওয়ায়ে অচেতন করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে এবং এই ঘটনা কাউকে না জানানোর নিষেধ করে।
এদিকে আমেনা বিষয়টি লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে বলেনি। এই ঘটনার একমাস পর আমেনার শারিরিক পরিবর্তন লক্ষ করলে ডাক্তারী পরীক্ষা করালে গর্ভবতি প্রমানিত হয়। এর পর বিষয়টি ধর্ষক চাষী মামুনকে জানালে চাষী মামুন গর্ভপাত করানোর পরামর্শ দেন। আরো কিছুদিন পর এই বিষয়টি সমাধান করবে বলে সময় ক্ষেপন করলে একসময় গর্ভের সন্তানটি প্রায় ৮ সপ্তাহ হয়েযায়। এক পর্যায়ে চাষী মামুন ধর্ষনের বিষয়টি অস্বীকার করে। উপায় না পেয়ে গত ১৬ মার্চ ২০২২ তারিখে কোতয়ালী থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন আমেনা আক্তার।
কোতয়ালী থানা পুলিশের তদন্তকারী অফিসার সাব ইন্সপেক্টর মোঃ আলমগীর মামলাটি প্রাথমিক তদন্ত করে সত্যতা পান। নারী শিশু নির্য ান দমন আইন 2003 এর ৯(১) ১৮৬০ দন্ডবিধি আইনে ৩২৮ ধারা মামলা রজু করা হয়। মামলা নং ৭৫ তারিখ ১৬-৩-২০২২ইং। মামলা হলেও এখন পর্যন্ত ধর্ষক আসামী গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ চাষী মামুনকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। আসামী ভিকটিমকে মামলাতুলে নেয়ার জন্যে চাপদিচ্ছে ও হুমকি দিচ্ছে বলে জানান ধর্ষিতা আমেনা।
অভিযুক্ত চাষী মামুন সাংবাদিকদের জানান,অভিযোগ টি ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক.মিথ্যা ও মানহানীকর। প্রকৃত অর্থে অভিযোগকারীনী থানায় যে অভিযোগ করেছে তাতে মিথ্যা ঘটনার সময় তারিখের সাথে বাস্তবে মিল নেই। যে বাড়িটিতে অফিস বলা হয়েছে সেই বাড়ীটি গত ২৬ ডিসেম্বর ভাড়া নেয়া হয়। এর আগে এখানে অফিস ছিলনা। প্রকৃত অর্থে হাসিনা আক্তার নামীয় এক মহিলা আমাদের এস এম ই সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে আমাদের অফিসের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল বাকীতে ক্রয় করে ,আমাদের টাকা না দিয়ে আত্নসাথের চেষ্টা করছে এবং আমেনা নামীয় মেয়েকে দিয়ে আমাদেরকে হয়রানী ও সম্মানহানীর ষড়েযন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। চাষী মামুন আরো বলেন আমার সাথে কুমিল্লার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সুসম্পর্ক রয়েছে তারা আমার সম্পর্কে জানে। মূলত ব্যবসায়ীক লেনদেন থেকেই এই মিথ্যা অভিযোগের মামলা সাজানো হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।